মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যে প্রাক প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল তা নিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার যথেষ্ট পরিমাণে আমদানি বা উৎপাদনের কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় পরশু সন্ধ্যার মধ্যেই কয়েক গুণ দাম বেড়ে গেছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত যে কয়টি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলোর মান ও আক্রান্তদের সুচিকিৎসা দেওয়ার সামর্থ্য নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন আছে। ফলে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়লে দেশবাসী গণহারে অকাল মৃত্যুর শিকার হতে পারেন। এ ব্যাপারে সরকারের ব্যর্থতা জনগণ কখনে ক্ষমা করবে না।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব সুচিকিৎসার জন্য দলের কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবারও মুক্তির দাবি জানান। তিনি বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে তাঁর চেয়েও কম বয়সী, কম অসুস্থ ও বেশি সাজাপ্রাপ্ত সরকারি দলের নেতারা জামিনে মুক্তি পেয়ে সাংসদ-মন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।
বিএনপির মহাসচিব খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা জামিন আবেদনের কথা উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেন, এবার অন্তত তাঁর জামিনে মুক্তি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।