সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক :
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছোট ছেলে শাহতা জারাব এরিকের ১৯তম জন্মদিন ছিল বুধবার। রাজধানীর বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসভবনে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন এরিকের সৎ ভাই রাহাগীর আল মাহি সাদ।
এরিককে টেলিফোনে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান এরশাদের প্রথম স্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতা রওশন। কিন্তু ছিলেন না এরিকের চাচা জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের। গত ১৪ জুলাই মারা যান জাপার প্রতিষ্ঠাতা এরশাদ। তার উত্তরাধিকার নিয়ে এর আগে বিরোধ চলেছে। এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য জাপার চেয়ারম্যান পদে বসেছেন জিএম কাদের। বিরোধীদলীয় নেতা হয়েছেন রওশন এরশাদ। রংপুর-৩ আসনের এমপি হয়েছেন সাদ।
বিবাহ বিচ্ছেদের পর ১৫ বছর বারিধারার বাড়িতে অনাহূত ছিলেন এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক। মৃত্যুর আগে এ বাড়িসহ সম্পত্তির বড় অংশ ট্রাস্টে দান করে যান এরশাদ। ট্রাস্টের সুবিধাভোগী হিসেবে এরিক এখন এ সম্পদের ভোগদখলকারী। এরশাদের মৃত্যুর পর বিদিশা বারিধারার বাড়ির বাসিন্দা হয়েছেন।
বুধবার রাত ৮টার দিকে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় এরিকের জন্মদিনের অনুষ্ঠান। গত কিছু দিন ধরে জাপার রাজনীতিতে হঠাৎ সক্রিয় হওয়া সাদ ছিলেন জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। এরশাদের মৃত্যুর পর জিএম কাদের যাদের জাপার কমিটি থেকে বাদ দিয়েছেন তারাও ছিলেন অনুষ্ঠানে।
বাদ পড়া প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার, দেলোয়ার হোসেন খান, কাজী মামুনুর রশিদ, জাফর ইকবাল সিদ্দিকি, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, মেজর (অব.) খালেদ আখতারকে পাশে নিয়ে জন্মদিনের কেট কাটেন সাদ ও এরিক। জাপা থেকে বহিষ্কৃত এরশাদের ভাতিজা আসিফ মকবুল শাহারিয়ারও ছিলেন। তাদের সবাই জাপার রাজনীতিতে জিএম কাদেরবিরোধী হিসেবে পরিচিত। তবে জিএম কাদেরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত কেউ ছিলেন না জন্মদিনে।
জাপা সূত্রের খবর, বাদ পড়া নেতাদের সবাই এখন রওশন এরশাদের অনুসারী। তাদের নিয়ে সাদের নেতৃত্বে নতুন একটি বলয় গড়ে উঠছে। আগে যারা তার অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তারা দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়ে জিএম কাদেরের পক্ষ নিয়েছেন। সাদের উপস্থিতির কারণে বাদ পড়া নেতারা সমবেত হন এরিকের জন্মদিনে।